আনিস তপন: [২] ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচন উপলক্ষ্যে সারাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব  মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নির্দেশে এই সেল গঠন করা হয়। 

[৩] এ সংক্রান্ত এক আদেশে বলা হয়েছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ঢাকাসহ সারাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমন্বয় ও পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে এই সেল গঠন করেছে জননিরাপত্তা বিভাগ।

[৪] এই সেলের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি) একেএম টিপু সুলতান। তাছাড়া সেলের দৈনন্দিন কাজের তদারকিতে একই বিভাগের যুগ্নসচিব হায়াত-উদ-দৌলাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

[৫] জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর বিশেষ একটি দল এই সেলের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে।

[৬] নির্বাচন উপলক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা তৈরী হলে সারাদেশের যে কোন স্থান থেকে যে কেউ ৯৯৯ এ ফোর করে ২ ডায়ল করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য প্রদান করলে তাৎক্ষণিক তা সমাধানের উদ্যোগ নেবে এই সেল।

[৭] সরেজমিন তথ্য সংগ্রহকালে মনিটরিং সেলের স্থাপিত মনিটরে দেখা গেছে অভিযোগগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ, অতি গুরুত্বপূর্ণ, অতি অতি গুরুত্বপূর্ণ এই  তিন শ্রেণিতে ভাগ করে তা সমাধান করা হচ্ছে। 

[৮] এরমধ্যে রোববার বেলা ৩.৩৬ মিনিট পর্যন্ত এই সেলে মোট অভিযোগ এসেছে ৪৬০টি। এসব অভিযেএগর মধ্যে ৪৫৪টি অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং ৬টি অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

[৯] মনিটরিং সেলে তিন শিফটে জননিরাপত্তা বিভাগ, পুলিশ, বর্ডারগার্ড, কোস্টগার্ড, র‌্যাব, আনসারসহ সরকারের ১২টি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ১২ জন কর্মকর্তা ধারাবাহিকভাবে (২৪*৭) দায়িত্ব পালন করছেন।

[১০] জননিরাপত্তা বিভাগের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, মনিটরিং সেলের সঙ্গে সারাদেশের মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে যে স্থানে কোন অপরাধ সংগঠিত হওয়ার আশঙ্কা আছে বা হয়েছে, এমন বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বা নেয়া হয়েছে কিনা তা তাৎক্ষণিক সেই কর্মকর্তা মনিটরিং সেলের ওয়েবসাইটে দেখতে পারবেন। সম্পাদনা: ইকবাল খান